স্বদেশ ডেস্ক:
আমলকী
আমলকী চুলের টনিক হিসেবে কাজ করে এবং চুলের পরিচর্যার ক্ষেত্রে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। এটি কেবল চুলের গোড়া মজবুত করে তাই নয়, চুলের বৃদ্ধিতেও সাহায্য করে। এটি চুলের খুশকির সমস্যা দূর করে ও চুল পাকা প্রতিরোধ করে।
কুমড়ো
কুমড়োর মধ্যে আছে জিঙ্ক। যা স্ক্যাল্পের চুলকানি, জ্বালা ও নানা রকমের সংক্রমণ রোধ করে। এই তেল মাথায় মাখলে সেটি স্ক্যাল্পে ডিএইচটি হরমোনের নিঃসরণ বাড়িয়ে দেয়। এই হরমোন হেয়ার ফলিকলের অতিরিক্ত প্রোটিন শোষণ বন্ধ করে চুল পড়া প্রতিরোধ করে।
শাক
শাকে আছে প্রচুর ফলিক এসিড, যা শরীরে মেলানিনের অভাব দূর করে। নিয়মিত শাক, মেথি, মটরশুঁটি চুল পাকতে বাধা দেয়।
ডিমের কুসুম
ডিমের কুসুমে আছে প্রচুর পরিমাণ বি১২ ভিটামিন। চুলের স্বাস্থ্য রক্ষা ও বৃদ্ধিতে বড় ভূমিকা রাখে ভিটামিন বি১২। অন্য কোনো স্বাস্থ্যগত সমস্যা না থাকলে চুল পাকা রোধে ডিমের কুসুম হতে পারে ভালো সমাধান।
দুগ্ধজাতীয় খাবার
দুধের তৈরি যেকোনো খাবার, যেমন ছানা, পায়েশ কিংবা এক গ্লাস খাঁটি দুধ কমিয়ে দিতে পারে আপনার চুল পাকার আশঙ্কা। দুধে থাকা ভিটামিনগুলো চুল যেমন শক্ত করে, তেমনি পাকার হাত থেকে সুরক্ষাও দেয়।
জিংকসমৃদ্ধ খাবার
প্রকৃতিতে পাওয়া জিংকসমৃদ্ধ খাবার চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সহায়তা করে।
বিশেষ করে কুমড়া, তরমুজ জাতীয় খাবারে প্রচুর জিংক থাকে। চুল কালো রাখতে বেশ উপকারী জিংকসমৃদ্ধ খাবার।
কপারসমৃদ্ধ খাবার
সামুদ্রিক ও মিঠা পানির মাছ, তিল, গম, গরু ও খাসির মাংসে আছে প্রচুর পরিমাণে কপার। এই কপার শরীরের মেলানিন বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। তাই অকালে চুল পাকা রোধ করতে কপারসমৃদ্ধ খাবার খান।
চুলের সতেজতায় খাবার ছাড়াও তিনটি করণীয়:
(১) দুশ্চিন্তা কম করুন।
অসময়ে চুল পাকার পেছনে সবচেয়ে বড় অনুঘটক হিসেবে কাজ করে দুশ্চিন্তা। তাই চেষ্টা করবেন যতটা সম্ভব দুশ্চিন্তা থেকে দূরে থাকার। বাড়তি চাপ যতটা এড়ানো যায়, ততই মঙ্গল। মনে রাখবেন, যত বেশি চাপ নেবেন, তত বাড়বে চুল পাকার আশঙ্কা।
(২) চুল পরিষ্কার রাখুন।
চুলের সতেজতায় নিয়মিত চুল পরিষ্কার রাখা, চুলের ধরন অনুযায়ী শ্যাম্পুর ব্যবহার প্রয়োজন।
(৩) পর্যাপ্ত পানি পান ও ঘুমান।
এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যারা পর্যাপ্ত পানি পান করেন ও প্রতিদিন নিয়ম করে ঘুমান গবেষণায় দেখা গেছে তাদের ত্বক ও চুলের লাবণ্যতা বেশি।